ঢাকা ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বগুড়ার মাটিডালীতে ১হাজার শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ বগুড়া দুপচাঁচিয়ায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপিত আদমদীঘিতে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালন ধুনটে জনপ্রতিনিধির দলকে হারিয়ে উপজেলা প্রশাসন বিজয়ী ধুনটে শহিদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালিত ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের ডোঙ্গায় আখ ফেলার মধ্য দিয়ে ৬৭তম মাড়াই মওসুমের শুরু নাচোলে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত সিরাজগঞ্জে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ফুলেল শ্রদ্ধা জানালো সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাব শহর বিএনপির আয়োজনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল নওগাঁ শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্বরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন

ওয়াকফ সম্পত্তি’ জবর দখলের পর এবার মোতাওয়াল্লীকে মেরেফেলার ষড়যন্ত্র।

এম.এ.জলিল রানা,জয়পুরহাট:
  • আপডেট সময় : ১১:৫১:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৮০ বার পড়া হয়েছে

Oplus_0

জয়পুরহাটে ‘ওয়াকফ সম্পত্তি’ জবর দখলের পর এবার মোতাওয়াল্লীকে মেরেফেলার ষড়যন্ত্র।মোঃ মাহবুবুর রহমান ( মোতাওয়াল্লী),’ফয়েজ উদ্দিন মন্ডল ওয়াকফ এস্টেট’ , ই, সি, নং ১৪২২, পিতা- মৃত আব্দুস সাত্তার মন্ডল,কোড়লগাড়ী, ক্ষেতলাল, জয়পুরহাট।তার বড় ভাইয়ের মৃত্যুর পর বিগত ১২/০১/২০১৫ ইং সালে বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসকের কার্যালয় কর্তৃক ওয়াকফ আইনের ৫১ ধারা মোতাবেক স্থায়ীভাবে মোতাওয়াল্লী পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। নিয়োগ প্রাপ্তির কিছু দিন পরেই জনৈক আবুল কালাম বিদ্বেষ বশত হয়রানির উদ্দেশ্যে মোতাওয়াল্লীর বিরুদ্ধে ওয়াকফ অফিসে দু,দফায় মিথ্যা,ভিত্তিহীন ও বানোয়ট অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের সত্যতা না থাকায় দু,টি অভিযোগ পত্রই খারিজ ও নথিজাত হয়।
এর পর,আবুল কালামের চাচা জনৈক আজাহার আলী মন্ডল হয়রানি ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অসৎ উদ্দেশ্যে মোতাওয়াল্লীর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি রীট পিটিশন দায়ের করে।পরবর্তীতে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ  মোঃ মাহবুবুর রহমান কে মোতাওয়াল্লী পদে বহাল রেখে রায় আদেশ প্রদান করেন।দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারে মোঃ মাহবুবুর রহমান কে মোতাওয়াল্লী পদে বহাল রাখার পরেও জনৈক আজাহার আলী মন্ডল জেলা জজ আদালত জয়পুরহাটে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আদেশের ভুল ব্যাখ্যায় ও তামাদি আইনের লঙ্ঘন করে ২০/২০১৭ নং মিস আপীল নামীয় একটি মামলা দায়ের করে। যা সরাসরি মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের প্রদত্ত রায় আদেশকে  অমান্য করার সামিল।
জয়পুরহাট জেলা জজ আদালত মামলাটির গ্রহণ যোগ্যতার বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানি ব্যাতিরেকেই জেলা জজ আদালত,অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত, পুনরায় জেলা জজ আদালত, সেখান থেকে আবার অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত;এভাবে ৪ বছর ৬ মাসে ৪০ বারের অধিক শুনানি অন্তে বিগত ১০/০৩/২০২২ ইং তারিখে অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত ১ম জয়পুরহাট,২০/২০১৭ নং মামলাটির রায় আদেশ প্রদান করেন। রায় প্রচার পরবর্তীতে যথাযথ প্রক্রিয়ায় কোর্ট থেকে মোতাওয়াল্লীকে উক্ত নং মামলাটির রায় আদেশের সার্টিফাইড কপিও সরবরাহ করা হয়।
পরবর্তীতে অতিরিক্ত জেলা জজ মহোদয়ের বদলির সুযোগে কোর্ট প্রশাসনের অসাধু চক্রের সহায়তায় আদালতের রেকর্ড থেকে ২০/২০১৭ নং মামলাটির রায় আদেশ গায়েব করে কজলিস্টে শুনানির তারিখ চলমান রাখে। কোর্ট প্রশাসনের অসাধু চক্র বাদীর নিকট হতে মোটা অংকের অর্থ লাভের আশায় এবং নিজেদের অপরাধ মূলক কর্মকান্ড ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বাদীকে মোতাওয়াল্লীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে রায় জালিয়াতির মিথ্যা মামলা দায়েরের কু-পরামর্শ প্রদান করে।
বাদী আজাহার আলী মন্ডল এর ইন্দন দাতা এবং মোতাওয়াল্লীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের সহযোগিতায় জনৈক আজাহার আলী মন্ডল (মোতাওয়াল্লী)র বিরুদ্ধে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪র্থ আদালত জয়পুরহাটে পি ৭১/২০২২ ( ক্ষেত) নং মামলা দায়ের করে। মামলাটি সম্পূর্ণরূপে বে-আইনী মর্মে আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। এতো কিছুর পরেও এই ষড়যন্ত্রকারীদের দৌরাত্ব থামেনি।কোর্ট প্রশাসনের ওই একই চক্রের সহায়তায় এবং ইন্দন দাতার ইন্দনে জনৈক আজাহার আলী মন্ডল আবারও শ্পেশাল জজ অর্থাৎ জেলা জজ আদালত জয়পুরহাটে মোতাওয়াল্লীর বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা দায়ের করেন।
ইতোমধ্যেই এই আজাহার আলী মন্ডল তার ইন্দন দাতার ইন্দনে ও দুষ্কৃতিকারী সঙ্ঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্রের সহায়তায় প্রায় ১০ বিঘা ওয়াকফ সম্পত্তি জবর দখল করে এবং ৩৫ শতাংশ ওয়াকফ সম্পত্তি বে-আইনী ভাবে হস্তান্তর করে।
মোতাওয়াল্লী ওয়াকফ সম্পত্তি উদ্ধারের প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে ; জেলা প্রশাসক জয়পুরহাট ওয়াকফ সম্পত্তির দখল নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে মোতাওয়াল্লীর বরাবরে ছেড়ে দেওয়ার জন্য জবর দখলকারীদেরকে আদেশ দেন।এতদসত্ত্বেও জবর দখলকারীরা ওয়াকফ সম্পত্তির দখল ছেড়ে দেননি। বরং মোতাওয়াল্লী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে একটার পর একটা মিথ্যা মামলা দিয়েই চলেছে।

এ ব্যাপারে ক্ষেতলাল থানায় ওয়াকফ সম্পত্তি জবর দখলকারীদের নামে জি,ডি ,করা হয়েছে। যার নং – ৩৭৭, তারিখ: ১০/৬/২০১৫ ইং।এছাড়া , ওয়াকফ সম্পত্তি জবর দখল করা থেকে বিরত থাকার জন্য জবর দখলকারীদেরকে অনুরোধ করা হলে,বাদী আজাহার আলী মন্ডল এর ইন্দন দাতার ইন্দনে সন্ত্রাসী ওই চক্রটি মোতাওয়াল্লীর বড় ভাই মোঃ ওমর শেখ মির্জা দুলুর ( অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সদস্য)কাছে চাঁদা দাবি করে হত্যা প্রচেষ্টায় ব্যার্থ হলে বিগত ৯/৭/২০১৫ ইং তারিখে  জবর দখলকারীদের বিরুদ্ধে ক্ষেতলাল থানায় পুলিশ বাদী একটি মামলা হয়। যার নং –  ৮(৭)১৫ ,ধারা -১৪৩/৩২৩/ ৩৪১/৩৭৯/৫০৬/ ৩৮৫/১১৪/৩৪ দ: বি:।এ মামলায় আসামিরা জামিনে রয়েছে,মামলাটি জয়পুরহাট আদালতে বিচারাধীন।এছাড়া,ওয়াকফ সম্পত্তি জোরপূর্বক জবর দখলকারী ইন্ধন দাতা ও সন্ত্রাসী চক্রের বিরুদ্ধে ক্ষেতলাল থানায় চাঁদাবাজি,ধর্ষণের ন্যায় একাধিক মামলা রয়েছে।যার একটি মামলা নং – ১৩(৮)১৫ , তারিখ: ২৭/৮/২০১৫ ইং ,ধারা- ৩৮৫/৫০৬(ii)/৩৪ দন্ড বিধি।
সর্বশেষ গত ৫/৮/২০২৪ ইং তারিখে সাবেক সরকার পতনের পর ওই দিনই বিকাল আনুমানিক সাড়ে পাঁচটার দিকে সন্ত্রাসী চক্রের ৩ সদস্য (১)আজিজুল হক বাচ্চুর ছেলে রিপন(২) মৃত আব্দুস সালাম মন্ডল এর ছেলে খাজায়ে নূর মোহাম্মদ বাবু,(৩) মৃত আব্দুল জব্বার মন্ডল এর ছেলে আজিজুল হক বাচ্চু, সর্ব সাং কোড়লগাড়ী, ক্ষেতলাল,জয়পুরহাট এর নেতৃত্বে এবং তাদের ইন্ধন দাতার ইন্ধনে ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মোতাওয়াল্লী ও তার বড় ভাই মোঃ ওমর শেখ মির্জা দুলু (অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সদস্য)র বাড়িঘর প্রকাশ্য দিবালোকে ভাংচুর, লুটপাট ও ডাকাতি করে নিয়ে যায়।

ওই সময়ে ক্ষেতলাল উপজেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার আবু সালেক ও তার সঙ্গীয় ফোর্স এবং ক্ষেতলাল থানায় কর্মরত সহকারী পুলিশ পরিদর্শক রাজু আহমেদ ও তার সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা প্রত্যক্ষ করেছেন।

এ বিষয়ে গত ১৪/৮/২০২৪ ইং তারিখে ক্ষেতলাল থানায় এবং সেনা ক্যাম্প জয়পুরহাটে পৃথক দু,টি এজাহার দাখিল করা হয়েছে।অপরাধী চক্রের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে দিশেহারা হয়ে নিজেদের জানমালের নিরাপত্তার জন্য ক্ষেতলাল থানায় আইনগত প্রতিকার চাওয়ার কারণে ভূমি জবর দখলকারী সন্ত্রাসী চক্রের ইন্ধন দাতা মোতাওয়াল্লী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে যে কোন মূল্যে মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা মামলায় নাম সংযোজনের ব্যাপক অপতৎপরতা চালাচ্ছে।
এছাড়াও মোতাওয়াল্লী অভিযোগ করেছেন,সম্প্রতি ওই ভূমি জবর দখলকারী,তার সন্ত্রাসী চক্র ও ইন্ধন দাতা সবায় মিলে ষড়যন্ত্র করছে,যদি যে কোন মূল্যে মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা মামলায় নাম সংযোজনে তারা ব্যর্থ হয় তাহলে যে কোন উপায়ে মোতাওয়াল্লীকে মেরেফেলা হবে।এমনটায় জানিয়েছেন,ভূক্তভোগী মোতাওয়াল্লী ও তার পরিবার।ফলে ভূক্তভোগীরা চরম নিরাপত্তাহিনতায় দিনাতিপাত করছে।সে কারনে নিজেদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন, সুদৃষ্টি কামনায়।
(অভিযোকারী মোতাওয়াল্লীর মৌখিক,লিখিত এবং দালিলিক সমস্ত স্টেটমেন্ট হাতে রেখে সংবাদটি লেখা হয়েছে।
সংবাদের সার্বিক বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানার কন্য ওয়াকফ সম্পত্তি জবর দখলকারী জনৈক আজাহার আলী মন্ডল এর সাথে মুঠফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ads

ওয়াকফ সম্পত্তি’ জবর দখলের পর এবার মোতাওয়াল্লীকে মেরেফেলার ষড়যন্ত্র।

আপডেট সময় : ১১:৫১:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জয়পুরহাটে ‘ওয়াকফ সম্পত্তি’ জবর দখলের পর এবার মোতাওয়াল্লীকে মেরেফেলার ষড়যন্ত্র।মোঃ মাহবুবুর রহমান ( মোতাওয়াল্লী),’ফয়েজ উদ্দিন মন্ডল ওয়াকফ এস্টেট’ , ই, সি, নং ১৪২২, পিতা- মৃত আব্দুস সাত্তার মন্ডল,কোড়লগাড়ী, ক্ষেতলাল, জয়পুরহাট।তার বড় ভাইয়ের মৃত্যুর পর বিগত ১২/০১/২০১৫ ইং সালে বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসকের কার্যালয় কর্তৃক ওয়াকফ আইনের ৫১ ধারা মোতাবেক স্থায়ীভাবে মোতাওয়াল্লী পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। নিয়োগ প্রাপ্তির কিছু দিন পরেই জনৈক আবুল কালাম বিদ্বেষ বশত হয়রানির উদ্দেশ্যে মোতাওয়াল্লীর বিরুদ্ধে ওয়াকফ অফিসে দু,দফায় মিথ্যা,ভিত্তিহীন ও বানোয়ট অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের সত্যতা না থাকায় দু,টি অভিযোগ পত্রই খারিজ ও নথিজাত হয়।
এর পর,আবুল কালামের চাচা জনৈক আজাহার আলী মন্ডল হয়রানি ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অসৎ উদ্দেশ্যে মোতাওয়াল্লীর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি রীট পিটিশন দায়ের করে।পরবর্তীতে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ  মোঃ মাহবুবুর রহমান কে মোতাওয়াল্লী পদে বহাল রেখে রায় আদেশ প্রদান করেন।দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারে মোঃ মাহবুবুর রহমান কে মোতাওয়াল্লী পদে বহাল রাখার পরেও জনৈক আজাহার আলী মন্ডল জেলা জজ আদালত জয়পুরহাটে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আদেশের ভুল ব্যাখ্যায় ও তামাদি আইনের লঙ্ঘন করে ২০/২০১৭ নং মিস আপীল নামীয় একটি মামলা দায়ের করে। যা সরাসরি মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের প্রদত্ত রায় আদেশকে  অমান্য করার সামিল।
জয়পুরহাট জেলা জজ আদালত মামলাটির গ্রহণ যোগ্যতার বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানি ব্যাতিরেকেই জেলা জজ আদালত,অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত, পুনরায় জেলা জজ আদালত, সেখান থেকে আবার অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত;এভাবে ৪ বছর ৬ মাসে ৪০ বারের অধিক শুনানি অন্তে বিগত ১০/০৩/২০২২ ইং তারিখে অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত ১ম জয়পুরহাট,২০/২০১৭ নং মামলাটির রায় আদেশ প্রদান করেন। রায় প্রচার পরবর্তীতে যথাযথ প্রক্রিয়ায় কোর্ট থেকে মোতাওয়াল্লীকে উক্ত নং মামলাটির রায় আদেশের সার্টিফাইড কপিও সরবরাহ করা হয়।
পরবর্তীতে অতিরিক্ত জেলা জজ মহোদয়ের বদলির সুযোগে কোর্ট প্রশাসনের অসাধু চক্রের সহায়তায় আদালতের রেকর্ড থেকে ২০/২০১৭ নং মামলাটির রায় আদেশ গায়েব করে কজলিস্টে শুনানির তারিখ চলমান রাখে। কোর্ট প্রশাসনের অসাধু চক্র বাদীর নিকট হতে মোটা অংকের অর্থ লাভের আশায় এবং নিজেদের অপরাধ মূলক কর্মকান্ড ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বাদীকে মোতাওয়াল্লীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে রায় জালিয়াতির মিথ্যা মামলা দায়েরের কু-পরামর্শ প্রদান করে।
বাদী আজাহার আলী মন্ডল এর ইন্দন দাতা এবং মোতাওয়াল্লীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের সহযোগিতায় জনৈক আজাহার আলী মন্ডল (মোতাওয়াল্লী)র বিরুদ্ধে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪র্থ আদালত জয়পুরহাটে পি ৭১/২০২২ ( ক্ষেত) নং মামলা দায়ের করে। মামলাটি সম্পূর্ণরূপে বে-আইনী মর্মে আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। এতো কিছুর পরেও এই ষড়যন্ত্রকারীদের দৌরাত্ব থামেনি।কোর্ট প্রশাসনের ওই একই চক্রের সহায়তায় এবং ইন্দন দাতার ইন্দনে জনৈক আজাহার আলী মন্ডল আবারও শ্পেশাল জজ অর্থাৎ জেলা জজ আদালত জয়পুরহাটে মোতাওয়াল্লীর বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা দায়ের করেন।
ইতোমধ্যেই এই আজাহার আলী মন্ডল তার ইন্দন দাতার ইন্দনে ও দুষ্কৃতিকারী সঙ্ঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্রের সহায়তায় প্রায় ১০ বিঘা ওয়াকফ সম্পত্তি জবর দখল করে এবং ৩৫ শতাংশ ওয়াকফ সম্পত্তি বে-আইনী ভাবে হস্তান্তর করে।
মোতাওয়াল্লী ওয়াকফ সম্পত্তি উদ্ধারের প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে ; জেলা প্রশাসক জয়পুরহাট ওয়াকফ সম্পত্তির দখল নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে মোতাওয়াল্লীর বরাবরে ছেড়ে দেওয়ার জন্য জবর দখলকারীদেরকে আদেশ দেন।এতদসত্ত্বেও জবর দখলকারীরা ওয়াকফ সম্পত্তির দখল ছেড়ে দেননি। বরং মোতাওয়াল্লী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে একটার পর একটা মিথ্যা মামলা দিয়েই চলেছে।

এ ব্যাপারে ক্ষেতলাল থানায় ওয়াকফ সম্পত্তি জবর দখলকারীদের নামে জি,ডি ,করা হয়েছে। যার নং – ৩৭৭, তারিখ: ১০/৬/২০১৫ ইং।এছাড়া , ওয়াকফ সম্পত্তি জবর দখল করা থেকে বিরত থাকার জন্য জবর দখলকারীদেরকে অনুরোধ করা হলে,বাদী আজাহার আলী মন্ডল এর ইন্দন দাতার ইন্দনে সন্ত্রাসী ওই চক্রটি মোতাওয়াল্লীর বড় ভাই মোঃ ওমর শেখ মির্জা দুলুর ( অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সদস্য)কাছে চাঁদা দাবি করে হত্যা প্রচেষ্টায় ব্যার্থ হলে বিগত ৯/৭/২০১৫ ইং তারিখে  জবর দখলকারীদের বিরুদ্ধে ক্ষেতলাল থানায় পুলিশ বাদী একটি মামলা হয়। যার নং –  ৮(৭)১৫ ,ধারা -১৪৩/৩২৩/ ৩৪১/৩৭৯/৫০৬/ ৩৮৫/১১৪/৩৪ দ: বি:।এ মামলায় আসামিরা জামিনে রয়েছে,মামলাটি জয়পুরহাট আদালতে বিচারাধীন।এছাড়া,ওয়াকফ সম্পত্তি জোরপূর্বক জবর দখলকারী ইন্ধন দাতা ও সন্ত্রাসী চক্রের বিরুদ্ধে ক্ষেতলাল থানায় চাঁদাবাজি,ধর্ষণের ন্যায় একাধিক মামলা রয়েছে।যার একটি মামলা নং – ১৩(৮)১৫ , তারিখ: ২৭/৮/২০১৫ ইং ,ধারা- ৩৮৫/৫০৬(ii)/৩৪ দন্ড বিধি।
সর্বশেষ গত ৫/৮/২০২৪ ইং তারিখে সাবেক সরকার পতনের পর ওই দিনই বিকাল আনুমানিক সাড়ে পাঁচটার দিকে সন্ত্রাসী চক্রের ৩ সদস্য (১)আজিজুল হক বাচ্চুর ছেলে রিপন(২) মৃত আব্দুস সালাম মন্ডল এর ছেলে খাজায়ে নূর মোহাম্মদ বাবু,(৩) মৃত আব্দুল জব্বার মন্ডল এর ছেলে আজিজুল হক বাচ্চু, সর্ব সাং কোড়লগাড়ী, ক্ষেতলাল,জয়পুরহাট এর নেতৃত্বে এবং তাদের ইন্ধন দাতার ইন্ধনে ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মোতাওয়াল্লী ও তার বড় ভাই মোঃ ওমর শেখ মির্জা দুলু (অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সদস্য)র বাড়িঘর প্রকাশ্য দিবালোকে ভাংচুর, লুটপাট ও ডাকাতি করে নিয়ে যায়।

ওই সময়ে ক্ষেতলাল উপজেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার আবু সালেক ও তার সঙ্গীয় ফোর্স এবং ক্ষেতলাল থানায় কর্মরত সহকারী পুলিশ পরিদর্শক রাজু আহমেদ ও তার সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা প্রত্যক্ষ করেছেন।

এ বিষয়ে গত ১৪/৮/২০২৪ ইং তারিখে ক্ষেতলাল থানায় এবং সেনা ক্যাম্প জয়পুরহাটে পৃথক দু,টি এজাহার দাখিল করা হয়েছে।অপরাধী চক্রের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে দিশেহারা হয়ে নিজেদের জানমালের নিরাপত্তার জন্য ক্ষেতলাল থানায় আইনগত প্রতিকার চাওয়ার কারণে ভূমি জবর দখলকারী সন্ত্রাসী চক্রের ইন্ধন দাতা মোতাওয়াল্লী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে যে কোন মূল্যে মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা মামলায় নাম সংযোজনের ব্যাপক অপতৎপরতা চালাচ্ছে।
এছাড়াও মোতাওয়াল্লী অভিযোগ করেছেন,সম্প্রতি ওই ভূমি জবর দখলকারী,তার সন্ত্রাসী চক্র ও ইন্ধন দাতা সবায় মিলে ষড়যন্ত্র করছে,যদি যে কোন মূল্যে মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা মামলায় নাম সংযোজনে তারা ব্যর্থ হয় তাহলে যে কোন উপায়ে মোতাওয়াল্লীকে মেরেফেলা হবে।এমনটায় জানিয়েছেন,ভূক্তভোগী মোতাওয়াল্লী ও তার পরিবার।ফলে ভূক্তভোগীরা চরম নিরাপত্তাহিনতায় দিনাতিপাত করছে।সে কারনে নিজেদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন, সুদৃষ্টি কামনায়।
(অভিযোকারী মোতাওয়াল্লীর মৌখিক,লিখিত এবং দালিলিক সমস্ত স্টেটমেন্ট হাতে রেখে সংবাদটি লেখা হয়েছে।
সংবাদের সার্বিক বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানার কন্য ওয়াকফ সম্পত্তি জবর দখলকারী জনৈক আজাহার আলী মন্ডল এর সাথে মুঠফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।