বগুড়ার শেরপুর উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানালেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান শিক্ষকরা
- আপডেট সময় : ০২:৩৬:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ৫৫৯ বার পড়া হয়েছে
লিখিত প্রতিবাদে তারা জানান-বগুড়ার শেরপুর উপজেলা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক বিজয় বাংলা (২১অক্টোবর ২০২৪ইং সোমবার) পত্রিকার প্রথম পাতায় প্রধান সংবাদ “শেরপুর ”মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকুরী করছেন ৭৩ জন শিক্ষক” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি সুম্পৃর্ণ সঠিক নয়। এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তথ্য পরিবেশন করা হয় নাই। এমন কি কোন মুক্তিযোদ্ধাদের বক্তব্য নেয়া হয় নাই। উক্ত সংবাদটি মিথ্যা ভিত্তিহীন,আমরা প্রতিবাদ জানাই।
স্থানীয় পত্রিকা হিসেবে সংবাদে তথ্যগুলো পর্যাপ্ত যাচাই বাচাই করার সুযোগ থাকলেও তা না করেই অতি উৎসাহি হয়ে মুক্তিযোদ্ধার তথ্য গোপন করায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। এমনকি সেই রিপোর্টার তার ফেসবুকে পত্রিকার কাটিং পোস্ট দিয়ে,” লালমুক্তিবার্তা,ভারতীয় তালিকা ,অনলাইনে নেই নাম তবুও মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকুরী ” তার এই তথ্য গুলো প্রকৃতপক্ষে সঠিক নয় শিরোনামে। নানা ভাবে হেয় মুক্তিযোদ্ধাদের হেয় করার চক্রান্ত করা হয়েছে।
লাল মুক্তিবার্তা ,ভারতীয় তালিকা কিংবা অনলাইনে নাম না থাকলেও তাকে অমুক্তিযোদ্ধা বলার সুযোগ বা আইনত ভিক্তি নেই। সংবাদ প্রতিবেদনে “শুধু গেজেট ও সনদ দিয়ে চাকুরি নিয়েছেন একই পরিবারের ৫ জন অথচ অনলাইনে তালিকায় নাম নেই ” এই তথ্যটি সুম্পুর্ণ মিথ্যা,বানোয়াট,ভিত্তিহীন। প্রকৃত ঘটনা বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোঃ মকবুল হোসেন এর ৫ কন্যা সরকারের যথাযথ আইন মেনেই চাকরি করেন।এছাড়াও তালুকদার উম্মে কুলছুম ও তালুকদার উম্মে কাওছার শিক্ষা জীবনে মেধা তালিকায় প্রথম ধাপেই ছিলেন। ছাত্রী হিসেবে স্কুল কলেজের সবাই তাদের মেধাবী হিসেবেই জানেন।
তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোঃ মকবুল হোসেন এর গেজেট নম্বর ১৮৩৬ , লাল মুক্তিবার্তা নম্বর ০৩০৬০৮০১১৫ , অনলাইনে সমন্বিত তালিকার ক্রমিক নম্বর ১০৫, মুক্তিযোদ্ধা পরিচিত নম্বর ০১১০০০০৩৩৯৪ অর্থাৎ তাদের গেজেট ,লাল মুক্তিবার্তা,অনলাইনে নাম এবং পরিচিত নম্বর সবই আছে।
প্রতিবেদনে সুঘাট ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান এর নাম উল্লেখ করেছেন কিন্তু বীর মুক্তিযোদ্ধা শব্দটি ব্যবহার করেননি যা অসম্মান জনক। জনাব বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান এর নামও অনলাইনে সমন্বিত তালিকায় রয়েছে। তার ক্রমিক নম্বর ৪৮ , পরিচিতি নম্বর ০১১০০০০২৯৮৯।
এছাড়াও সংবাদে রায়গঞ্জ উপজেলার দুই জন বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান হোসনে আরা এবং রীতা রানীর বিষয়ে বলেছেন লাল মুক্তি বার্তা ও অনলাইনে নাম নেই। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে হোসনে আরার পিতার নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবু বকর ,গেজেট নম্বর ১১০৫ , লাল মুক্তি বার্তা নম্বর ০৩১২০৭০০০৪,অনলাইনে সমন্বিত তালিকার ক্রমিক নম্বর ৬৩ , পরিচিতি নম্বর ১৮৮০০০১০২২।
রীতা রানীর পিতার নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী রামজীবন দত্ত , গেজেট নম্বর ২৭০৪ , অনলাইনে সমন্বিত তালিকার ক্রমিক নম্বর ৬৮ ,মুক্তিযোদ্ধা পরিচিতি নম্বর ১৮৮০০০১১৬৬।
সংবাদে ষষ্ঠী বালা সম্পর্কে বলা হয়েছে-তিনি শুধু মাত্র সনদ দেখিয়ে চাকুর নিয়েছে বিষয় টা সত্য নয়।প্রকৃত পক্ষে ষষ্ঠী বালার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী সুরেন্দ্র নাথ মাহাতো , গেজেট নম্বর /ক্রমিক নম্বর ৩১৩৭ , লাল মুক্তি বার্তা নম্বর ০৩০৬০৮০০৯৩।
আমরা আপনাদের জানাতে চাই, রাষ্টীয় ভাবে যখন শেরপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার স্যারের মাধ্যমে তথ্য চাওয়া হয়েছে,তখন আমাদের সময় দেওয়া হয় নাই। আমাদের বলা হয়েছে হাতের কাছে যে তথ্য রয়েছে তাই দিন।আমরা গেজেট নং মুখস্ত থাকায় অধিকাংশই গেজেট নং দিয়েছি। শিক্ষা অফিসার স্যার বলেছে-সমস্যা নাই,গেজেট নং-অনলাইনে সার্চদিলে সবই পাওয়া যায়। যদি যাচাই বাছাই যে আপত্তি আসে তাহলে পুনরায় সকল তথ্য দেওযার সুযোগ পাওয়া যাবে।
উল্লেখিত অসুম্পুর্ন মনগড়া সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ করছি।
প্রতিবাদকারী
রাশেদুল হাসান,
তালুকদার উম্মে কুলছুম
তালুকদার উম্মে কাওছার
তাহমিনা খাতুন
সেলিনা আক্তার জাহান
ফাতেমা আক্তার
ষষ্ঠী বালা