ঢাকা ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বগুড়ার মাটিডালীতে ১হাজার শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ বগুড়া দুপচাঁচিয়ায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপিত আদমদীঘিতে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালন ধুনটে জনপ্রতিনিধির দলকে হারিয়ে উপজেলা প্রশাসন বিজয়ী ধুনটে শহিদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালিত ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের ডোঙ্গায় আখ ফেলার মধ্য দিয়ে ৬৭তম মাড়াই মওসুমের শুরু নাচোলে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত সিরাজগঞ্জে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ফুলেল শ্রদ্ধা জানালো সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাব শহর বিএনপির আয়োজনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল নওগাঁ শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্বরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন

ইসকন-সহ সকল উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি

স্টাফরিপোটার
  • আপডেট সময় : ০৬:০০:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ২৭ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সেমিনারে বাংলাদেশে ইসকন-সহ সকল উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়েছেন বক্তারা। মুসলিম রাইটস ফাউন্ডেশন কর্তৃক শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে আয়োজিত এই সেমিনারের বিষয়বস্তু ছিল “ইসকন-সহ সকল উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধকরণ: আইনী প্রেক্ষিত”।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ আলী আক্কাস চৌধুরী। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন মুসলিম রাইটস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন সুমন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মুসলিম রাইটস ফাউন্ডেশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক মুহম্মদ আরিফুর রহমান, মুসলিম রাইটস ফাউন্ডেশনের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ ওমর এবং মুসলিম রাইটস ফাউন্ডেশনের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক এসএম আমিমুল ইসলাম-সহ আরো অনেকে।

ব্যারিস্টার আক্কাস চৌধুরী তার মূল প্রবন্ধে বলেন, ইসকন নামে একটি ধর্মীয় ভাব আন্দোলন হলেও বিগত দুই দশকে সংগঠনটি ব্যাপকভাবে রাজনীতি জড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বব্যাপী এই সংগঠনটি মার্কিন-ভারতের আধিপত্যবাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই সংগঠনটি মুসলিম জনগোষ্ঠী ও মূল ধারার হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি ব্যাপক বিদ্বেষমূলক আচরণ করছে। ইসকনের সমর্থকরা খুন, জমি দখল, মারামারি, অন্যের সম্পদের ক্ষতি সাধনসহ নানান সন্ত্রাসী কার্যকলাপে যুক্ত হওয়ার সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে বিজেপি-আরএসএস-এর উগ্র হিন্দুত্ববাদী গেরুয়া পতাকার রাজনীতি এই ইসকনের হাত দিয়েই শুরু হয়েছে। ইসকনের দেশি ও বিদেশি নেতারা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হুমকি ও আক্রমনাত্মক বক্তব্য রেখেছেন। ছাত্রলীগের মতো ইসকনকেও সন্ত্রাস বিরোধী আইনের আওতায় নিষিদ্ধ করা সম্ভব।

মুসলিম রাইটস ফাউন্ডেশনের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ ওমর বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিএসএফ সর্বপ্রথম যে বাংলাদেশীকে হত্যা করেছিল তার নাম স্বর্ণা দাস, মাত্র ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরী। স্বর্ণা দাসের হত্যাকারী ভারত যখন চিন্ময় দাসের মুক্তি চেয়ে বিবৃতি দেয়, তখন সেটা একটা রাজনৈতিক ভন্ডামী ছাড়া আর কিছুই নয়। ইসকন ও অন্যান্য উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনকে ব্যবহার করে ভারত মূলত বাংলাদেশ একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চায় এবং বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে চাপে রাখতে চায়। বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়কে পুঁজি করে ভারতের এই অপরাজনীতিকে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা অবশ্যই রুখে দিবে।

মুসলিম রাইটস ফাউন্ডেশনের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক এসএম আমিমুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে ইসকন নিয়ে উদ্বেগের গোড়ার বিষয়টি হলো, অখণ্ড বা অবিভক্ত ভারত প্রতিষ্ঠার চেষ্টা। ইসকন ভারতের মদদে বাংলাদেশের হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোকে অর্গানাইজ করে অখণ্ড বা অবিভক্ত ভারত প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় কাজ করছে, যা বাংলাদেশের অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার সাথে সাংঘর্ষিক। এই অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠার বীজ হিন্দুত্ববাদীদের সাম্প্রতিক ৮ দফার দাবীর মধ্যে নিহিত এবং সেখান থেকেই সাম্প্রদায়িক দন্দ্বের সূত্রপাত। তাই সমস্যার সমাধান যদি করতে হয়, তবে শুধু ইসকন কেন্দ্রীক চিন্তা করলে হবে না, অখণ্ড বা অবিভক্ত ভারত প্রতিষ্ঠার যে বিশ্বাস, চিন্তার কেন্দ্র সেখানে দিতে হবে।

মুসলিম রাইটস ফাউন্ডেশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক মুহম্মদ আরিফুর রহমান বলেন, মার্কিন-ভারতের সাম্রাজ্যবাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশে বিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ড করছে ইসকন। সাম্রাজ্যবাদী শাসক চক্রের গণতান্ত্রিক রাজনীতি ও সুদভিত্তিক অর্থনীতি বিশ্বে এখন পতনের মুখে। সাম্রাজ্যবাদীদের অপরাজনীতিকে পরিহার না করা পর্যন্ত ইসকনের মতো বিদেশি দালালদেরকে প্রতিহত করা সম্ভব নয়। বিজেপি-আরএসএস-এর গেরুয়া রাজনীতিকে বাংলাদেশে চিরতরে পরাজিত করতে হলে বাংলাদেশে খোলাফায়ে রাশিদিনের শাসন ব্যবস্থার আদলে খিলাফত আলা মিনহাজুন নবুয়াহ কায়েম করা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই। খিলাফত জীবন ব্যবস্থাই আমাদের সামগ্রিক মুক্তির একমাত্র পথ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ads

ইসকন-সহ সকল উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি

আপডেট সময় : ০৬:০০:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সেমিনারে বাংলাদেশে ইসকন-সহ সকল উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়েছেন বক্তারা। মুসলিম রাইটস ফাউন্ডেশন কর্তৃক শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে আয়োজিত এই সেমিনারের বিষয়বস্তু ছিল “ইসকন-সহ সকল উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধকরণ: আইনী প্রেক্ষিত”।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ আলী আক্কাস চৌধুরী। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন মুসলিম রাইটস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন সুমন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মুসলিম রাইটস ফাউন্ডেশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক মুহম্মদ আরিফুর রহমান, মুসলিম রাইটস ফাউন্ডেশনের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ ওমর এবং মুসলিম রাইটস ফাউন্ডেশনের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক এসএম আমিমুল ইসলাম-সহ আরো অনেকে।

ব্যারিস্টার আক্কাস চৌধুরী তার মূল প্রবন্ধে বলেন, ইসকন নামে একটি ধর্মীয় ভাব আন্দোলন হলেও বিগত দুই দশকে সংগঠনটি ব্যাপকভাবে রাজনীতি জড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বব্যাপী এই সংগঠনটি মার্কিন-ভারতের আধিপত্যবাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই সংগঠনটি মুসলিম জনগোষ্ঠী ও মূল ধারার হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি ব্যাপক বিদ্বেষমূলক আচরণ করছে। ইসকনের সমর্থকরা খুন, জমি দখল, মারামারি, অন্যের সম্পদের ক্ষতি সাধনসহ নানান সন্ত্রাসী কার্যকলাপে যুক্ত হওয়ার সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে বিজেপি-আরএসএস-এর উগ্র হিন্দুত্ববাদী গেরুয়া পতাকার রাজনীতি এই ইসকনের হাত দিয়েই শুরু হয়েছে। ইসকনের দেশি ও বিদেশি নেতারা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হুমকি ও আক্রমনাত্মক বক্তব্য রেখেছেন। ছাত্রলীগের মতো ইসকনকেও সন্ত্রাস বিরোধী আইনের আওতায় নিষিদ্ধ করা সম্ভব।

মুসলিম রাইটস ফাউন্ডেশনের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ ওমর বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিএসএফ সর্বপ্রথম যে বাংলাদেশীকে হত্যা করেছিল তার নাম স্বর্ণা দাস, মাত্র ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরী। স্বর্ণা দাসের হত্যাকারী ভারত যখন চিন্ময় দাসের মুক্তি চেয়ে বিবৃতি দেয়, তখন সেটা একটা রাজনৈতিক ভন্ডামী ছাড়া আর কিছুই নয়। ইসকন ও অন্যান্য উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনকে ব্যবহার করে ভারত মূলত বাংলাদেশ একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চায় এবং বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে চাপে রাখতে চায়। বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়কে পুঁজি করে ভারতের এই অপরাজনীতিকে বাংলাদেশের ছাত্র-শ্রমিক-জনতা অবশ্যই রুখে দিবে।

মুসলিম রাইটস ফাউন্ডেশনের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক এসএম আমিমুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে ইসকন নিয়ে উদ্বেগের গোড়ার বিষয়টি হলো, অখণ্ড বা অবিভক্ত ভারত প্রতিষ্ঠার চেষ্টা। ইসকন ভারতের মদদে বাংলাদেশের হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোকে অর্গানাইজ করে অখণ্ড বা অবিভক্ত ভারত প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় কাজ করছে, যা বাংলাদেশের অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার সাথে সাংঘর্ষিক। এই অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠার বীজ হিন্দুত্ববাদীদের সাম্প্রতিক ৮ দফার দাবীর মধ্যে নিহিত এবং সেখান থেকেই সাম্প্রদায়িক দন্দ্বের সূত্রপাত। তাই সমস্যার সমাধান যদি করতে হয়, তবে শুধু ইসকন কেন্দ্রীক চিন্তা করলে হবে না, অখণ্ড বা অবিভক্ত ভারত প্রতিষ্ঠার যে বিশ্বাস, চিন্তার কেন্দ্র সেখানে দিতে হবে।

মুসলিম রাইটস ফাউন্ডেশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক মুহম্মদ আরিফুর রহমান বলেন, মার্কিন-ভারতের সাম্রাজ্যবাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশে বিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ড করছে ইসকন। সাম্রাজ্যবাদী শাসক চক্রের গণতান্ত্রিক রাজনীতি ও সুদভিত্তিক অর্থনীতি বিশ্বে এখন পতনের মুখে। সাম্রাজ্যবাদীদের অপরাজনীতিকে পরিহার না করা পর্যন্ত ইসকনের মতো বিদেশি দালালদেরকে প্রতিহত করা সম্ভব নয়। বিজেপি-আরএসএস-এর গেরুয়া রাজনীতিকে বাংলাদেশে চিরতরে পরাজিত করতে হলে বাংলাদেশে খোলাফায়ে রাশিদিনের শাসন ব্যবস্থার আদলে খিলাফত আলা মিনহাজুন নবুয়াহ কায়েম করা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই। খিলাফত জীবন ব্যবস্থাই আমাদের সামগ্রিক মুক্তির একমাত্র পথ।