ঢাকা ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বগুড়ার মাটিডালীতে ১হাজার শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ বগুড়া দুপচাঁচিয়ায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপিত আদমদীঘিতে শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালন ধুনটে জনপ্রতিনিধির দলকে হারিয়ে উপজেলা প্রশাসন বিজয়ী ধুনটে শহিদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালিত ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের ডোঙ্গায় আখ ফেলার মধ্য দিয়ে ৬৭তম মাড়াই মওসুমের শুরু নাচোলে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত সিরাজগঞ্জে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ফুলেল শ্রদ্ধা জানালো সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাব শহর বিএনপির আয়োজনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল নওগাঁ শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্বরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন

আল্লামা ইকবালের ১৪৭তম জন্মবার্ষিকী সেমিনার অনুষ্ঠিত

মশিউর রহমান ,স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১২:৩৩:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪ ৫১ বার পড়া হয়েছে

উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ কবি আল্লামা ইকবালের ১৪৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সেমিনার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আজ শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। “আল্লামা ইকবালের স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্রের চিন্তা : আজকের বাস্তবতা” শীর্ষক উক্ত সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের দ্বিতীয় সচিব জাভেদ আসকারী, রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রফেসর ডক্টর শাহীদুজ্জামান, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর ডক্টর আব্দুর রব, প্রখ্যাত কবি ড. মাহবুব হাসান, প্রখ্যাত সাংবাদিক ও কলামিস্ট সৈয়দ তোশারফ আলি।

বক্তারা বলেন, আল্লামা ইকবাল একজন কবি দার্শনিক, সংস্কারক, আইনবিদ, রাজনীতিবিদ এবং একাধারে একজন মুসলিম জাগরণের চিন্তক। কোন কবি সাহিত্যকে কখনোই কোন দেশ বা কালের গণ্ডিতে আবদ্ধ রাখা যায় না তাই আল্লামা ইকবালের মত একজন কবি দার্শনিক বিষয়ক মতবাদ সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্ব মানবের হৃদয়ের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং স্বপ্ন।
আল্লামা ইকবাল ভারতীয় উপমহাদেশের সাধারণ মানুষদেরকে নিয়ে চিন্তা করে দেখলেন সঠিক দিক-নির্দেশনা না থাকার কারণে মানুষ দিশেহারা হয়ে যাচ্ছে এবং কল্যাণময় সমাজ থেকে তারা দূরে সরে চলে যাচ্ছে। মুসলমানদের অবস্থা দিনে দিনে আরও শোচনীয় হয়ে পড়ছে। এই চিন্তা ভাবনা থেকে আল্লামা ইকবাল একটি জাতি গঠনের চেষ্টা করেন এবং তার বিখ্যাত উম্মাহ ভিত্তিক রাষ্ট্রতত্ত্ব পেশ করলেন।
মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বলেন, যে জাতি নিজের ভুল ত্রুটি শুধরে কুরআন ও হাদিসের আলোকে জীবন যাপন করবে সমাজে। কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠন করবে। সেখানে ধনী গরিব বা উঁচু-নিচু, অন্যায় জুলুম, অবিচার মারামারি-হানাহানি, দাঙ্গা-হাঙ্গামা কিছু থাকবে না।
মানুষ মানুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সম্মিলিতভাবে আদায় করতে পারে। কুরআন হাদিসের মূল মর্মবাণী যেন সঠিকভাবে জানতে পারে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী চলতে পারে, তার জন্য তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন।
আল্লামা ইকবাল সমাজের পিছিয়ে থাকা মানুষগুলোকে নিয়ে তাদের সামনে সোনালী দিনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য লড়াই করে গিয়েছেন।

আল্লামা ইকবাল সংসদের সেক্রেটারি ড. আব্দুল ওয়াহিদ তার সমাপনী বক্তব্য বলেন, ঘুমিয়ে পড়া মুসলমানদেরকে জাগরণের আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। ইউরোপের মরীচিকার মুখোশ তিনি মুসলমানদের সামনে খুলে দিয়েছিলেন। তিনি মুসলমান জাতিকে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে বারবার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ads

আল্লামা ইকবালের ১৪৭তম জন্মবার্ষিকী সেমিনার অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় : ১২:৩৩:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ কবি আল্লামা ইকবালের ১৪৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সেমিনার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আজ শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। “আল্লামা ইকবালের স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্রের চিন্তা : আজকের বাস্তবতা” শীর্ষক উক্ত সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের দ্বিতীয় সচিব জাভেদ আসকারী, রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রফেসর ডক্টর শাহীদুজ্জামান, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর ডক্টর আব্দুর রব, প্রখ্যাত কবি ড. মাহবুব হাসান, প্রখ্যাত সাংবাদিক ও কলামিস্ট সৈয়দ তোশারফ আলি।

বক্তারা বলেন, আল্লামা ইকবাল একজন কবি দার্শনিক, সংস্কারক, আইনবিদ, রাজনীতিবিদ এবং একাধারে একজন মুসলিম জাগরণের চিন্তক। কোন কবি সাহিত্যকে কখনোই কোন দেশ বা কালের গণ্ডিতে আবদ্ধ রাখা যায় না তাই আল্লামা ইকবালের মত একজন কবি দার্শনিক বিষয়ক মতবাদ সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্ব মানবের হৃদয়ের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং স্বপ্ন।
আল্লামা ইকবাল ভারতীয় উপমহাদেশের সাধারণ মানুষদেরকে নিয়ে চিন্তা করে দেখলেন সঠিক দিক-নির্দেশনা না থাকার কারণে মানুষ দিশেহারা হয়ে যাচ্ছে এবং কল্যাণময় সমাজ থেকে তারা দূরে সরে চলে যাচ্ছে। মুসলমানদের অবস্থা দিনে দিনে আরও শোচনীয় হয়ে পড়ছে। এই চিন্তা ভাবনা থেকে আল্লামা ইকবাল একটি জাতি গঠনের চেষ্টা করেন এবং তার বিখ্যাত উম্মাহ ভিত্তিক রাষ্ট্রতত্ত্ব পেশ করলেন।
মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বলেন, যে জাতি নিজের ভুল ত্রুটি শুধরে কুরআন ও হাদিসের আলোকে জীবন যাপন করবে সমাজে। কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠন করবে। সেখানে ধনী গরিব বা উঁচু-নিচু, অন্যায় জুলুম, অবিচার মারামারি-হানাহানি, দাঙ্গা-হাঙ্গামা কিছু থাকবে না।
মানুষ মানুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সম্মিলিতভাবে আদায় করতে পারে। কুরআন হাদিসের মূল মর্মবাণী যেন সঠিকভাবে জানতে পারে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী চলতে পারে, তার জন্য তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন।
আল্লামা ইকবাল সমাজের পিছিয়ে থাকা মানুষগুলোকে নিয়ে তাদের সামনে সোনালী দিনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য লড়াই করে গিয়েছেন।

আল্লামা ইকবাল সংসদের সেক্রেটারি ড. আব্দুল ওয়াহিদ তার সমাপনী বক্তব্য বলেন, ঘুমিয়ে পড়া মুসলমানদেরকে জাগরণের আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। ইউরোপের মরীচিকার মুখোশ তিনি মুসলমানদের সামনে খুলে দিয়েছিলেন। তিনি মুসলমান জাতিকে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে বারবার আহ্বান জানিয়েছিলেন।