আদমদীঘি উপজেলায় রাসেলস ভাইপার আতঙ্ক
- আপডেট সময় : ০২:২১:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪ ৩৭ বার পড়া হয়েছে
সারাদেশের ন্যায় বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতঙ্ক উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে গনমাধ্যমেও এই সাপ ছড়িয়ে পড়ার খবর এখন টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হচ্ছে। এতে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা পেলে এই বিষধর সাপের কামড়ে মৃত্যু হয় না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন রাসেলস ভাইপার নিয়ে সতর্কতা এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। সাপে কামর দিলেই নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে মৃত্যুঝুঁকি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। উপজেলাস্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন হাসপাতালে পর্যাপ্ত সাপে কামড়ের ওষুধ ‘অ্যান্টিভেনম’ রয়েছে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা পর্যায়ের মেডিকেলগুলোতে সাপে কামরের রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার সক্ষমতা শতভাগ নেই। বিশেষ করে বিষধর সাপ মানুষকে কামর দিলে তাকে অতিদ্রুত চিকিৎসাসেবা প্রদান করতে হয়। সেক্ষেত্রে স্থানীয় অনেক রোগীই দেরিতে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে হাসপাতাল যেতেও সময় লেগে যায়। এতে করে রোগীরা হাসপাতালে দেরিতে আসায় তাদের শরীরে বিষক্রিয়া ছড়িয়ে পড়লে আইসিইউ কিংবা সিসিইউ এর প্রয়োজন পড়ে। এছাড়াও অনেক সময় রোগীদের কার্ডিয়ার্ক সাপোর্টের দরকার হয়। তবে উপজেলা পর্যায়ে এসকল সাপোর্ট না থাকায় বেশিভাগ রোগীকে অন্যত্র বদলী করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে করে রোগীদের মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে
যায়। আদমদীঘি সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে রাব্বী জানান সঠিক সময়ে সাপে কামর দেওয়া রোগী মেডিকেলে এসে চিকিৎসা নিলে তেমন কোনো সমস্যা হয় না। তবে বেশিভাগ রোগীরাই দেরিতে মেডিকেলে আসেন। এসময় রোগীর অবস্থা এমনিতেই খারাপ থাকে। তাই অনেক রোগীর আইসিইউ, সিসিউর প্রয়োজন পড়ে। এছাড়াও এই সময় রোগীর কন্ডিশন অনুযায়ী ‘অ্যান্টিভেনম’ প্রয়োগ না হলে মাঝে মাঝে পার্শ প্রতিক্রিয়াও দেখা যায়। তখন রোগীকে ভিন্ন ওষুধ দিতে হয়। উপজেলা পর্যায়ে এসব সক্ষমতা থাকে না। তাছাড়া রাসেল ভাইপার বা যে কোন বিষধর সাপ কাউকে কামড় দিলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে। তাকে ঝাড় ফুক বা অন্য কোন উপায়ে বিষ নামানোর চেষ্টা করা যাবে না। বনবিভাগের তথ্য কে জানানো হয়েছে দেশে ২০১২ সালের পর থেকে রাসেলস ভাইপারের সংখ্যা বাড়তে থাকে। রাসেলস ভাইপার দক্ষ সাঁতারু হওয়ায় নদীর স্রোতে ও বন্যার পানিতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিস্তৃত হয়েছে।