আদমদীঘিতে সবজির বাজারে ধস কৃষককের কপালে পরেছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ
- আপডেট সময় : ০২:৫৫:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫ ৩৪ বার পড়া হয়েছে
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদরসহ আশপাশ এলাকায় সবজি বাজারে ধস নেমেছে। এতে সবজি চাষিদের উৎপাদন খরচ তুলতে নাপারায় এলাকার কৃষকের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পরেছ। জানাযায়, গত কয়েক মাস আগে সবজি বাজারে সবধরনের সবজির মূল্য বেপরোয়া ভাবে বেরে যায়। এতে শীত মৌসুম শরুর সাথে সাথে এলাকার কৃষকরা ভালো দামের আশায় আগাম আলু, সরিষা, মুলা,ফুলকপি, পাতাকপি, ছিম,গাজর, টমেটো, পালং শাক সহ সবধরনের সবজি চাষে ঝুকে পড়েন। মৌসুমের শুরুতে দুর্যোগপৃর্ণ আবহাওয়া ফলে কৃষকরা সবজির ফলন নিয়ে আশংকা করলেও পরে আবহাওয়া সবজি চাষের অনুকুলে থাকায় সবজি চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছারিয়ে গাছে। ফলে হাটে-বাজারে এখন ব্যাপক সবজি আমদানি হওয়ায় বাজারে সবজির দাম একেবাওে কমেগাছে। এখন বাজারে নতুন আলু বড় ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ফুলকপি বড় প্রতিপীচ ৩ থেকে ৫ টাকা,পাতাকপি বড় প্রতিপীচ ৫ থেকে ১০ টাকা, ছিম প্রতিকেজি ১০ থেকে ২০টাকা,মুলা প্রতিকেজি ৩ থেকে ৫ টাকা, গাজর প্রতিকেজি ২০ টাকা, টমেটো প্রতিকেজি ২০ থেকে ৪০টাকা পালংশাক ২০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সান্তাহার রাধাকান্ত হাটে আদমদীঘি উপজেলার কায়েতপাড়া গ্রামের ফুলকপি ক্রেতা মোঃ ছাহের আলী সান্দিড়া গ্রামের শাজাহান আলী,ও সান্তাহার
পৌর এলাকার উপর পোঁওতা গ্রামের আব্দুল মজিদ ইনকিলাবকে বলেন হাটে- বাজারে সবজির দাম কম অল্প টাকার সবজি কিনলে ব্যাগ ভরে যাচ্ছে। বাজারে সারা বছর সবজির দাম এরকম থাকলেত ভালোই হয়। উপজেলার অন্তাহার গ্রামের কৃষক মকছেদুল, দুগাৃপুর
গ্রামের ফুলচান জানান, এক পীচ ফুলকপিতে উৎপাদন খরচ হয়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা সেটা এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৫ টাকা, পাতাকপিতে একই খরচ হয়েছে। এক কথা এবার হামাকেরে মুলা,ফুল, কপি পাতাকপি,আর পালং কও কোনটারই খরচ তুলিবার
পারছিনাবারে। আদমদীঘি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিঠু চন্দ্র অধিকারী জানান, এবার আদমদীঘি উপজেলায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হলেও লক্ষ্য মাত্রা
ছারিয়ে ৩৫০০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েিেছিল ২৫০০ হেক্টর। এবার লক্ষ্যমাত্রা ছারিয়ে ৩৫০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। এছারাও এবার সরিষা চাষে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫ হাজার হেক্টর কিন্ত এবার সরিষা চাষ হয়েছে ৪৫০০ হেক্টর। ফলে এবার সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। #