ঢাকা ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বগুড়ার সান্তাহারে ৭২ হাজার টাকার জাল নোটসহ একজন গ্রেপ্তার জেলা যুবলীগের আয়োজনে ইফতার বিতরণ আদমদীঘিতে স্বামী স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট মামলায় আরো দুইজন গ্রেফতার আদমদীঘিতে ট্রাকের ধাক্কায় একজন নিহত সিরাজদিখানে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে শিক্ষকদের করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ধুনট থিয়েটারের আয়োজনে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বগুড়ায় ঔষধ বাজারে সয়লাব বিক্রি নিষিদ্ধ ফিজিশিয়ান স্যাম্পলে সিরাজগঞ্জে বিশ্ব নাট্য দিবস পালিত মনন সাহিত্য সংগঠনের পাক্ষিক অধিবেশন এবং ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বগুড়ায় সিএনজি চালিত গাড়ির সিলিন্ডার রি-টেস্টিং শতভাগ নিশ্চিত করা সময়েরদাবী গোমস্তাপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত নওগাঁয় সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার শুভ উদ্বোধন সান্তাহার পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদে লুটপাট ও ভাংচুর ঘটনায় থানায় অভিযোগ সান্তাহার পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদে লুটপাট ও ভাংচুর ঘটনায় থানায় অভিযোগ এই প্রথম নারী জেলা প্রশাসক পেল বগুড়াবাসী ঢাকায় নিখোঁজ রিক্সা চালকের সন্ধান এখনও মেলেনি ধুনটে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হলেন এমরুল কায়েস ঠাকুরগাঁওয়ের ধনতলা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত ১ সান্তাহারে মাদক বিক্রি বন্ধের দাবীতে সুধী সমাবেশ নওগাঁয় কৃষক হত্যার দায়ে ২৬জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত বগুড়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়কে কুপিয়ে হত্যা করেছেন দুর্বৃত্তরা

আদমদীঘিতে দিন দিনহারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার সব ঐতিহ্যবাহি খেলা

আদমদিঘী (বগুড়া) প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৪:০২:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪ ৩৩ বার পড়া হয়েছে

বগুড়া জেলার আদমদিঘী উপজেলায় আধুনিকতার ছোঁয়ায় দিন দিনহারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার সব ঐতিহ্যবাহি খেলা। কুতকুত তানিয়া/ নৌকা দিমু বারাইয়া/ নৌকা যদি ডুবে/ বিয়া দিমু পূবে। এক সময় এমন কত খেলাতেই না মেতে উঠতে গ্রামবংলার শিশু-কিশোররা। আজ নানা কারনে বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার এসব জনপ্রিয় খেলা ও কথা। বর্তমান প্রজন্মের কাছে এসব ছড়া একেবারেই অপরিচিত। এসব খেলাধুলা একসময় আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বহন করত। কালের বিবর্তনে অজ পাড়াগাঁয়েও বহুল প্রচলিত কাপাডি দাঁড়িয়াবান্ধা গোল্লাছুট, কানামাছি প্রভৃতি খেলার প্রচলন যেন হারাতে বসেছে। হা-ডু-ডু,ডাঙ্গুলি,গোছত তোলা, চিক্কা, কুতকুত, ল্যাংচা, বোমবাষ্ঠিং, হাঁড়িভাঙা, বৌছি, কাঠি ছোয়াঁ, দড়ি লাফানো, বরফ পানি, দড়ি টানাটানি, চেয়ার সিটিং, রুমাল চুরি, চোখ বোজা, ওপেন্টি বায়স্কোপ, এক্কা-দোক্কা, এলাটিং বেলাটিং, আগডুম বাগডুম, ইচিং বিচিং, ইকড়ি মিকড়ি, ঝুম ঝুমা ঝুম, নোনতা বলরে, কপাল টোকা, বউরানী ছক্কা, লাঠিখেলা, বলী খেলা, আইচ্চা ভাঙা, রাম শাম যদু মধু, চোর-ডাকাত, মার্বেল, সাতচড়া,ষোলগুটি, চিল মোড়ক, বোঝাবুঝি,বদন, লাফালাফি, ডালিম খেলা, তাশ খেলা,দাবা খেলা

ইত্যাদি। সান্তাহারের বশিপুর গ্রামের মিন্টু বলেন বলেন,
গ্রাম বাংলার এসব খেলাধুলা ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। ঐতিহ্যবাহি এসব খেলাধুলা হারিয়ে যাচ্ছে। এসব খেলাধুলা এখন আর তেমন কোথাও চোখে পড়ে না। নতুন প্রজন্মের কাছে এগুলো এখন শুধুই গল্প। মাঠে খেলতে না গিয়ে এখনকার শিশু কিশোররা মোবাইলে বা কম্পিউটারে ভিডিও গেমস খেলে নিয়ে ব্যস্ত থাকে। লেখক ও সাহিত্যক রবিউল জানান এই বন্ধ সময় ঐতিহ্যবাহি গ্রাম বাংলার খেলাগুলি হারিয়ে যাবার ফলে অনেক শিক্ষার্থীরা পর্যন্ত এসব খেলা না খেলে প্রায় সারাটা দিন মোবাইলে ফ্রি-ফায়ার পাবজি গেমস খেলেছে। ফলে কিশোর অপরাধ বেড়ে গেছে। আমাদের উচিত হবে পুরোনো সেসব খেলা আবার ফিরে আনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ads

আদমদীঘিতে দিন দিনহারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার সব ঐতিহ্যবাহি খেলা

আপডেট সময় : ০৪:০২:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪

বগুড়া জেলার আদমদিঘী উপজেলায় আধুনিকতার ছোঁয়ায় দিন দিনহারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার সব ঐতিহ্যবাহি খেলা। কুতকুত তানিয়া/ নৌকা দিমু বারাইয়া/ নৌকা যদি ডুবে/ বিয়া দিমু পূবে। এক সময় এমন কত খেলাতেই না মেতে উঠতে গ্রামবংলার শিশু-কিশোররা। আজ নানা কারনে বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার এসব জনপ্রিয় খেলা ও কথা। বর্তমান প্রজন্মের কাছে এসব ছড়া একেবারেই অপরিচিত। এসব খেলাধুলা একসময় আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বহন করত। কালের বিবর্তনে অজ পাড়াগাঁয়েও বহুল প্রচলিত কাপাডি দাঁড়িয়াবান্ধা গোল্লাছুট, কানামাছি প্রভৃতি খেলার প্রচলন যেন হারাতে বসেছে। হা-ডু-ডু,ডাঙ্গুলি,গোছত তোলা, চিক্কা, কুতকুত, ল্যাংচা, বোমবাষ্ঠিং, হাঁড়িভাঙা, বৌছি, কাঠি ছোয়াঁ, দড়ি লাফানো, বরফ পানি, দড়ি টানাটানি, চেয়ার সিটিং, রুমাল চুরি, চোখ বোজা, ওপেন্টি বায়স্কোপ, এক্কা-দোক্কা, এলাটিং বেলাটিং, আগডুম বাগডুম, ইচিং বিচিং, ইকড়ি মিকড়ি, ঝুম ঝুমা ঝুম, নোনতা বলরে, কপাল টোকা, বউরানী ছক্কা, লাঠিখেলা, বলী খেলা, আইচ্চা ভাঙা, রাম শাম যদু মধু, চোর-ডাকাত, মার্বেল, সাতচড়া,ষোলগুটি, চিল মোড়ক, বোঝাবুঝি,বদন, লাফালাফি, ডালিম খেলা, তাশ খেলা,দাবা খেলা

ইত্যাদি। সান্তাহারের বশিপুর গ্রামের মিন্টু বলেন বলেন,
গ্রাম বাংলার এসব খেলাধুলা ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। ঐতিহ্যবাহি এসব খেলাধুলা হারিয়ে যাচ্ছে। এসব খেলাধুলা এখন আর তেমন কোথাও চোখে পড়ে না। নতুন প্রজন্মের কাছে এগুলো এখন শুধুই গল্প। মাঠে খেলতে না গিয়ে এখনকার শিশু কিশোররা মোবাইলে বা কম্পিউটারে ভিডিও গেমস খেলে নিয়ে ব্যস্ত থাকে। লেখক ও সাহিত্যক রবিউল জানান এই বন্ধ সময় ঐতিহ্যবাহি গ্রাম বাংলার খেলাগুলি হারিয়ে যাবার ফলে অনেক শিক্ষার্থীরা পর্যন্ত এসব খেলা না খেলে প্রায় সারাটা দিন মোবাইলে ফ্রি-ফায়ার পাবজি গেমস খেলেছে। ফলে কিশোর অপরাধ বেড়ে গেছে। আমাদের উচিত হবে পুরোনো সেসব খেলা আবার ফিরে আনা।