ঢাকা ০৪:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বগুড়ার সান্তাহারে ৭২ হাজার টাকার জাল নোটসহ একজন গ্রেপ্তার জেলা যুবলীগের আয়োজনে ইফতার বিতরণ আদমদীঘিতে স্বামী স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট মামলায় আরো দুইজন গ্রেফতার আদমদীঘিতে ট্রাকের ধাক্কায় একজন নিহত সিরাজদিখানে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে শিক্ষকদের করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ধুনট থিয়েটারের আয়োজনে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বগুড়ায় ঔষধ বাজারে সয়লাব বিক্রি নিষিদ্ধ ফিজিশিয়ান স্যাম্পলে সিরাজগঞ্জে বিশ্ব নাট্য দিবস পালিত মনন সাহিত্য সংগঠনের পাক্ষিক অধিবেশন এবং ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বগুড়ায় সিএনজি চালিত গাড়ির সিলিন্ডার রি-টেস্টিং শতভাগ নিশ্চিত করা সময়েরদাবী গোমস্তাপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত নওগাঁয় নারী উদ্যোক্তার পুকুরে কীটনাশক প্রয়োগ করে লক্ষাধিক বগুড়া শেরপুরে নতুন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের যোগদান শেরপুরে ভয়াবহ বন্যায় সাত জনের মৃত্যু! বগুড়া জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো জেলা ইজতেমা ঠাকুরগাঁওয়ে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো জেলা ইজতেমা পদ্মপুকুর ইউনিয়নে বিশেষ স্ত্রীরোগ ও মাতৃস্বাস্থ্য সেবা পেল প্রায় ১০০ জন সুবিধাবঞ্চিত নারী নাচোলে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৭টি তাজা ককটেল উদ্ধার সাতক্ষীরায় নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপনের লক্ষে বিজিবি’র মতবিনিময় সভা

আদমদীঘিতে কাঁচা মরিচ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

আদমদিঘী (বগুড়া) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় : ১২:৪৬:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪ ৪৯ বার পড়া হয়েছে

 

বগুড়া জেলার আদমদিঘী উপজেলা শষ্য ও মৎস ভান্ডার খ্যাত আদমদীঘিতে ধান শাষের পাশাপশি বর্তমানে লাভজনক শষ্য মরিচ চাষে আগ্রহ বেড়েছে উপজেলার কৃষকদের মাঝে। বর্তমানে উপজেলার বাজারগুলিতে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা কেজিতে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে। শুকনো মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজিতে। ধানের নায্য লাভে বঞ্চিত কৃষক তাই মরচি চাষে ঝুকছে। কৃষি অফিস সূত্রে প্রাপ্ত খবর অনুসারে এ বছর ২৫ হেক্টর চমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। এ অঞ্চলে গ্রীষ্মকাল ও শীতকালে মরিচ চাষ হয়ে থাকে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে মরিচ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক। উপজেলা সদর ইউনিয়ন,ছাতিয়ানগ্রাম, চাঁপাপুর, কুন্দগ্রাম, নশরৎপুর,ও সান্তাহার ইউনিয়নে মরিচ চাষ হয়। অনেক কৃষক মরিচ চাষে আর্থিক স্বচ্ছলতা এনেছেন। তবে আবহাওয়াজনিত কারনে বর্তমানে মরিচ গাছ রোগে আক্রন্ত হয়ে গাছের পাতা কুকড়ে যাচ্ছে এবং কোন কোন মরিচ গাছ মারা যাচ্ছে। তা ছাড়া কিটনাশকের ও সারের মূল্যে বৃদ্ধি পাওয়াতে মরিচ চাষে খরচ বেড়েছে। উপজেলার কোমারপুর গ্রামের কৃষক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমি ২৮ শতক জমিতে মরিচ চাষ করেছি। মোট খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। এই জমি থেকে ১ লক্ষ টাকা আয় হবে বলে আশা করছি। এখন যে বাজার মূল্যে আছে তা আমাদের জন্য আর্শিবাদ। ইতিমধ্যে আমি ১৮ হাজার টাকা মরিচ বিক্রি করে আয় করেছি। ফাল্গুন মাসে মরিচের বীজ বপন করে বৈশাখ মাসের মধ্যে জমি তৈরি করে মরিচের গাছ বপন করতে পারেলে আবাদ ভাল হয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ মিঠু চন্দ্র অধিকারী জানান মরিচ উঞ্চ ও শুস্ক জলবায়ু উপযোগী মসলা জাতীয় শষ্য। সব ধরনের দোআঁশ মাটিতে মরিচ চাষে উপযোগী। রোপণের এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে গাছে ফুল আসা শুরু হয়ে দুই মাসের মধ্যে কৃষকেরা মরিচ বিক্রি শুরু করতে পারে। বর্তমানে প্রতি হেক্টর জমিতে কাঁচা মরিচের ফলন ১০ থেকে ১২ টন পাওয়া যায়। বর্তমানে কাচাঁ মরিচের দাম কৃষকের জন্য আর্শিবাদ।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ads

আদমদীঘিতে কাঁচা মরিচ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

আপডেট সময় : ১২:৪৬:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪

 

বগুড়া জেলার আদমদিঘী উপজেলা শষ্য ও মৎস ভান্ডার খ্যাত আদমদীঘিতে ধান শাষের পাশাপশি বর্তমানে লাভজনক শষ্য মরিচ চাষে আগ্রহ বেড়েছে উপজেলার কৃষকদের মাঝে। বর্তমানে উপজেলার বাজারগুলিতে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা কেজিতে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে। শুকনো মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজিতে। ধানের নায্য লাভে বঞ্চিত কৃষক তাই মরচি চাষে ঝুকছে। কৃষি অফিস সূত্রে প্রাপ্ত খবর অনুসারে এ বছর ২৫ হেক্টর চমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। এ অঞ্চলে গ্রীষ্মকাল ও শীতকালে মরিচ চাষ হয়ে থাকে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে মরিচ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক। উপজেলা সদর ইউনিয়ন,ছাতিয়ানগ্রাম, চাঁপাপুর, কুন্দগ্রাম, নশরৎপুর,ও সান্তাহার ইউনিয়নে মরিচ চাষ হয়। অনেক কৃষক মরিচ চাষে আর্থিক স্বচ্ছলতা এনেছেন। তবে আবহাওয়াজনিত কারনে বর্তমানে মরিচ গাছ রোগে আক্রন্ত হয়ে গাছের পাতা কুকড়ে যাচ্ছে এবং কোন কোন মরিচ গাছ মারা যাচ্ছে। তা ছাড়া কিটনাশকের ও সারের মূল্যে বৃদ্ধি পাওয়াতে মরিচ চাষে খরচ বেড়েছে। উপজেলার কোমারপুর গ্রামের কৃষক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমি ২৮ শতক জমিতে মরিচ চাষ করেছি। মোট খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। এই জমি থেকে ১ লক্ষ টাকা আয় হবে বলে আশা করছি। এখন যে বাজার মূল্যে আছে তা আমাদের জন্য আর্শিবাদ। ইতিমধ্যে আমি ১৮ হাজার টাকা মরিচ বিক্রি করে আয় করেছি। ফাল্গুন মাসে মরিচের বীজ বপন করে বৈশাখ মাসের মধ্যে জমি তৈরি করে মরিচের গাছ বপন করতে পারেলে আবাদ ভাল হয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ মিঠু চন্দ্র অধিকারী জানান মরিচ উঞ্চ ও শুস্ক জলবায়ু উপযোগী মসলা জাতীয় শষ্য। সব ধরনের দোআঁশ মাটিতে মরিচ চাষে উপযোগী। রোপণের এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে গাছে ফুল আসা শুরু হয়ে দুই মাসের মধ্যে কৃষকেরা মরিচ বিক্রি শুরু করতে পারে। বর্তমানে প্রতি হেক্টর জমিতে কাঁচা মরিচের ফলন ১০ থেকে ১২ টন পাওয়া যায়। বর্তমানে কাচাঁ মরিচের দাম কৃষকের জন্য আর্শিবাদ।