আদমদিঘী নাগর নদী পারাপারে একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো
- আপডেট সময় : ১২:০৪:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫ ৪৮ বার পড়া হয়েছে
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুরে নাগরনদের উপর বাঁশের তৈরী নড়বড়ে সাঁকোই ২১ গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও এখানে একটি সেতু নির্মিত না হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে এই সাঁকোর উপর দিয়ে প্রতিদিন স্কুল ও কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ শতশত মানুষের পারাপার করতে হয়। ফলে এলাকাবাসীদেরকে দেশের বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগের ক্ষেত্রে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই নাগরনদের উপর বাঁশের সাঁকোর বদলে একটি সেতু বা ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানান ভুক্তভোগী এলাবাবাসীরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুরের কয়াকুঞ্জি ও দক্ষিণ এলাকা কয়েকটি গ্রাম এবং নন্দীগ্রাম উপজেলার পারশন, জামালপুর, বনগ্রাম, ইরিহারা বাঁশোগ্রামসহ প্রায় ২১ গ্রামের শতশত মানুষের দেশের অন্য স্থানের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম আদমদীঘির নাগরনদের উপড় চাঁপাপুর-পারঘাটা বাঁশের তৈরী নড়বড়ে সাঁকোটি। স্থানীয় জনতা প্রতি বছরই নিজস্ব অর্থে এই সাঁকো মেরামত করে পারাপারের ব্যবস্থা করে থাকেন। চাঁপাপুর বাজারের ব্যবসায়ী হাবিজার রহমান মন্টু জানান, এই পারঘাটায় অবস্থিত দীর্ঘদিনের পুরাতন বাঁশের তৈরী সাঁকোটির স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য জনপ্রতিনিধিদের কাছে দাবি জানিয়ে আসলেও দেশ স্বাধীনের প্রায় ৫৩ বছর হলেও ওইখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ হয়নি। আদমদীঘি ও নন্দীগ্রামের দুই উপজেলার প্রায় ২১টি গ্রামের শতশত মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা বাঁশের এই সাঁকো। এ বিষয়ে চাঁপাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হিটলু জানান, বাঁশের তৈরী নড়বড়ে ওই সাঁকো দিয়ে মারাত্বক ঝুঁকিক মধ্যে এলাকাবাসীদের পারাপার হতে হয়।
এলাকার উন্নয়ন আর জনগনের দুর্ভোগ কমাতে বাঁশের সাঁকোর স্থানে দ্রুত একটি সেতু নির্মাণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে।##